আজ শনিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মালিক পক্ষের দালালরা জ্বালাও পোড়াও ভাঙচুর করে- পলাশ

জ্বালাও পোড়াও ভাঙচুর

জ্বালাও পোড়াও ভাঙচুর

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মালিক পক্ষের দালালরা জ্বালাও পোড়াও ভাঙচুর করে মন্তব্য করে শ্রমিক নেতা জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যান বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব কাউসার আহমেদ পলাশ বলেছেন, মালিক পক্ষ তাঁদের কিছু দালাল আমার শ্রমিকের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়। যারা জ্বালাও, পোড়াও, ভাঙচুর করে। আর আমাদের শ্রমিকের নামে সেগুলো চালিয়ে দেয়।
মঙ্গলবার (১ মে) নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় শ্রম দপ্তর কর্তৃক মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাউসার আহমেদ পলাশ বলেন, জ্বালাও, পোড়াও হলে মালিকের কোন ক্ষতি হয় না, ক্ষতি হয় শ্রমিকের। মালিকের ক্ষতি হয় পাঁচ লাখ টাকা আর মামলা, পত্রিকায় খবর বাবদ খরচ হয় দুইশ’ টাকা। আর যদি ন্যায্য ভাবে কাজ করে তাহলে মালিকের খরচ হয় ৫ কোটি টাকা। গ্যাঞ্জাম লাগালে সুবিধা তাঁদেরই। কারন গ্যাঞ্জাম লাগালে খরচ হয় ৫ লক্ষ আর ন্যায্যভাবে শ্রমিককে দিতে হবে ৫ কোটি। সুতরাং পুরো ঘটনায় মালিকের লাভ। ঘটনায় যদি ৫জন জড়িত থাকে তাহলে মামলা করে ২ শ’ জনের নামে। তারপর শ্রমিকরা এসে আমাকে বলে, পলাশ ভাই, টাকার দরকার নাই, মামলার থেকে বাঁচান!
তিনি আরও বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে অনেক মালিককে গ্রেফতার করিয়ে ডিসি, এসপি সাহেবের সামনে থানায় বসিয়ে রেখে শ্রমিকের বেতন আদায় করেছি। সরকার আজ শ্রমিকের উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করেছেন। যদি কোন শ্রমিকের সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ বা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে চান্স পায় তাহলে তাদের বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ দেয়া হবে। এছাড়াও শ্রমিকের উন্নয়নের জন্য অনেক ব্যবস্থা করেছে আওয়ামীলীগ সরকার।
তিনি আরো বলেন, এতো এতো ব্যবস্থা থাকার পরেও এক শ্রেণীর মালিক আছে, যাদের পূর্বের স্বভাব পরিবর্তন হয় নি। সরকার নির্ধারিত মজুরি তাঁরা শ্রমিককে দেয় না। এই পর্যন্ত যেসব আইন করা হয়েছে শ্রমিকের পক্ষে সেসব আইন অনেক মিল কারখানার মালিকেরা মানছে না। শ্রমিককে মাসিক বেতন ঠিক মতো দিচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় জুলুম, অত্যাচার করছে। এ রকম ভুরি-ভুরি প্রমান আমাদের কাছে আছে।

 

জ্বালাও পোড়াও ভাঙচুর

 

 

শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে কাউসার আহমেদ পলাশ বলেন, আমরা আন্দোলন করি, সংগ্রাম করি। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে আাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে যেন মালিক পক্ষের কোন দালাল ঢুকতে না পারে। এভাবে মালিকরা চান্স নেয়। তাই তাঁদের ফাঁদে আমরা পড়বো না। আমরা জ্বালাও, পোড়াও করবো না। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার থেকে যে আইন করা হয়েছে, সে আইন মেনেই আমরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করবো।

 

জ্বালাও পোড়াও ভাঙচুর

 

শ্রমিকদের পূনর্বাসন করতে হবে। পূনর্বাসন না করে ট্যাম্পো, অটোরিকশা বন্ধ করতে গেলে দেখা যাবে এ বাংলাদেশের সড়কের মধ্যে কোন গাড়ি চলবে না। কাগজপত্রের হিসাব করতে গেলে দেখা যাবে ২০ শতাংশ গাড়ির কাগজপত্র ঠিক আছে। বাকিসব গুলার কাগজপত্র ঠিক নাই। কিন্তু যতো দোষ কেবল ঐ টেম্পোর।
হকার উচ্ছেদ বিষয়ে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে একটা সেটেলড বিষয়ের কথা শুনি। মাননীয় ডিসি, এসপি মহোদয়কে বলবো, বারবার ব্যাপারটি সেটেলড কিন্তু তারপরও মাঝে মধ্যে শ্রমিকরা রাস্তায় নামে। হকারের বিষয়টি নিয়ে শ্রমিকরা রাস্তায নামে। যদি এই ব্যাপারটি জনস্বার্থে, মানুষের স্বার্থেই হয়ে থাকে তাহলে আমাদের ৭৪টা শ্রমিক সংগঠন নিয়ে বসেন। যদি জনস্বার্থেই হয়ে থাকে আমরা সবাই একমত হয়ে আপনাদের সাথে থাকবো। কাউকে কোন আন্দোলন করতে দেবো।
শ্রমিক সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রাখেন, জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক মাইন উদ্দিন আহমেদ বাবুল, জেলা ও মহানগর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক মোঃ গোলাম কাদির, জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক উমাইয়া বেগম সুমি, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান মুন্না, জাতীয় শ্রমিক পার্টির সহ-সভাপতি আবুল খাঁয়ের ভুঁইয়া প্রমুখ।